Thursday, 12 December 2024

১০০ টি এক কথায় প্রকাশ

 

ভূমিকা:

বাংলা ভাষার বিশাল শব্দভান্ডার আমাদের ভাব প্রকাশের ক্ষমতাকে সমৃদ্ধ করে। বিভিন্ন বাক্য বা ধারণা এক শব্দে প্রকাশ করার কৌশলকে বলা হয় "এক কথায় প্রকাশ"। এটি ভাষাকে সংক্ষেপে, নির্ভুলভাবে এবং সহজে বোঝার উপযোগী করে তোলে। বিশেষত, লেখার সময় বা যোগাযোগে দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট ভাব প্রকাশের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা ভাষা দক্ষতা যাচাইয়ের অংশ হিসেবে "এক কথায় প্রকাশ" একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এটি পরীক্ষার্থীদের শব্দভান্ডার, ব্যাকরণজ্ঞান এবং ভাষার উপর দখল পরিমাপ করতে সহায়তা করে।

এক কথায় প্রকাশের গুরুত্ব ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায়:

১। শব্দভান্ডার বৃদ্ধি:
এক কথায় প্রকাশের চর্চা শিক্ষার্থীদের শব্দভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে।

২। ভাষার উপর দখল:
এটি পরীক্ষার্থীদের ভাষার প্রতি শুদ্ধ ও সংক্ষিপ্ত জ্ঞানের পরিচায়ক।

৩। প্রশ্নের কাঠামো বুঝতে সহায়তা:
বাংলা অংশে এটি সহজ পদ্ধতিতে বেশি নম্বর পেতে সহায়তা করে।

৪। লিখিত ও মৌখিক দক্ষতা বৃদ্ধি:
এক কথায় প্রকাশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্য সংক্ষেপে এবং কার্যকরভাবে প্রকাশ করতে পারে।

৫। সৃজনশীল চিন্তাভাবনা:
এটি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করে।

 

১০০ টি এক কথায় প্রকাশ


১. কুকুরের ডাক = বুক্কন
২. রাজহাঁসের ডাক = ক্রেঙ্কার
৩. বিহঙ্গের ডাক/ধ্বনি = কূজন/কাকলি
৪. করার ইচ্ছা = চিকীর্ষা
৫. ক্ষমা করার ইচ্ছা = চিক্ষমিষা/তিতিক্ষা
৬. ত্রাণ লাভ করার ইচ্ছা = তিতীর্ষা
৭. গমন করার ইচ্ছা = জিগমিষা
৮. নিন্দা করার ইচ্ছা = জুগুপ্সা
৯. বেঁচে থাকার ইচ্ছা = জিজীবিষা
১০. পেতে ইচ্ছা = ঈপ্সা
১১. চোখে দেখা যায় এমন = চক্ষুগোচর
১২. চোখের নিমেষ না ফেলিয়া = অনিমেষ
১৩. গম্ভীর ধ্বনি = মন্দ্র
১৪. মুক্তি পেতে ইচ্ছা = মুমুক্ষা
১৫. বিজয় লাভের ইচ্ছা = বিজিগীষা
১৬. প্রবেশ করার ইচ্ছা = বিবক্ষা
১৭. বাস করার ইচ্ছা = বিবৎসা
১৮. বমন করিবার ইচ্ছা = বিবমিষা
১৯. রমণ বা সঙ্গমের ইচ্ছা = রিরংসা
২০.আমার তুল্য =সাদৃশ
২১. ইহার তুল্য = ইদৃশ
২২. ঋষির তুল্য = ঋষিকল্প
২৩. দেবতার তুল্য = দেবোপম
২৪. রন্ধনের যোগ্য = পাচ্য
২৫. জানিবার যোগ্য = জ্ঞাতব্য
২৬. প্রশংসার যোগ্য = প্রশংসার্হ
২৭. ঘ্রাণের যোগ্য = ঘ্রেয়
২৮. যাহা সহজে লঙ্ঘন করা যায় না = দুলঙ্ঘ্য
২৯. যাহা সহজে উত্তীর্ণ হওয়া যায় না = দুস্তর
৩০. যা বলা হয়েছে = বক্ষ্যমাণ
৩১. যা পূর্বে চিন্তা করা যায় নি = অচিন্তিতপূর্ব
৩২. যা পূর্বে কখনও আস্বাদিত হয় নাই = অনাস্বাদিতপূর্ব
৩৩. যা পূর্বে শোনা যায় নি = অশ্রুতপূর্ব
৩৪. হিরণ্য (স্বর্ণ) দ্বারা নির্মিত = হিরন্ময়
৩৫. বাতাসে চরে যে = কপোত
৩৬. পূর্ব জন্মের কথা স্মরণ আছে যার = জাতিস্বর
৩৭. সরোবরে জন্মায় যাহা = সরোজ
৩৮. সর্বদা ইতস্তত ঘুরিয়া বেড়াইতেছে = সততসঞ্চরমান
৩৯. যা পুনঃ পুনঃ জ্বলিতেছে = জাজ্বল্যমান
৪০. সকলের জন্য প্রযোজ্য =সর্বজনীন
৪১. সকলের জন্য অনুষ্ঠিত = সার্বজনীন
৪২. প্রায় প্রভাত হয়েছে এমন = প্রভাতকল্পা
৪৩. রাত্রির মধ্যভাগ = মহানিশা
৪৪. স্মৃতিশাস্ত্রে পণ্ডিত যিনি = শাস্ত্রজ্ঞ
৪৫. স্মৃতি শাস্ত্র রচনা করেন যিনি =শাস্ত্রকার
৪৬. যিনি স্মৃতি শাস্ত্র জানেন = স্মার্ত
৪৭. শক্তির উপাসনা করে যে = শাক্ত
৪৮. এখনও শত্রু জন্মায় নাই যার = অজাতশত্রু
৪৯. এখনও গোঁফ-দাড়ি গজায় নাই যাহার = অজাতশ্মশ্রু
৫০. যে ব্যক্তি এক ঘর হতে অন্য ঘরে ভিক্ষা করে বেড়ায় = মাধুকর
৫১. অন্যদিকে মন নাই যার = অনন্যমনা
৫২. খেয়া পার করে যে = পাটনী
৫৩. নিজেকে বড় ভাবে যে = হামবড়া
৫৪. নিজেকে যে নিজেই সৃষ্টি করেছে = সয়ম্ভূ
৫৫. নিতান্ত দগ্ধ হয় যে সময়ে (গ্রীষ্মকাল) = নিদাঘ
৫৬. যা গতিশীল = জঙ্গম
৫৭. যে বিষয়ে কোন বিতর্ক নেই = অবিসংবাদী
৫৮. স্ত্রীর বশীভূত = স্ত্রৈণ
৫৯. অত্যন্ত তরল জল নিঃসরণ = অতিসার/অতীসার
৬০. অঙ্গীকৃত মাল তৈরির জন্য প্রদত্ত অগ্রিম অর্থ = দাদন
৬১. অতি উচ্চ ধ্বনি = মহানাদ
৬২. অতিশয় রমণীয় = সুরম্য
৬৩. অণুর ভাব = অণিমা
৬৪. অগ্র-পশ্চাৎ ক্রম অনুযায়ী = আনুপূর্বিক
৬৫. অবজ্ঞায় নাক উঁচু করে যে = উন্নাসিক
৬৬. অসির শব্দ = ঝঞ্জনা
৬৭. অন্ধকার রাত্রি = তামসী
৬৮. অশ্বের চালক = সাদী
৬৯. ঈষৎ নীলাভবিশিষ্ট = আনীল
৭০. ঈষৎ উষ্ণ = কবোষ্ণ
৭১. ঈষৎ পাংশু বর্ণ = কয়রা
৭২. আকস্মিক দুর্দৈব = উপদ্রব
৭৩.আঙুর ফল = দ্রাক্ষা
৭৪. আজীবন সধবা যে নারী = চিরায়ুষ্মতী
৭৫. উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ধন = রিকথ
৭৬. উটের/হস্তীর শাবক = করভ
৭৭. ঋষির দ্বারা উক্ত(কথিত) = আর্য
৭৮. ঋজুর ভাব = আর্জব
৭৯. ঋতুর সম্বন্ধে = আর্তব
৮০. ঔষধের আনুষঙ্গিক সেব্য = অনুপান
৮১. কংসের শত্রু যিনি = কংসারি
৮২. কালো হলুদের মিশানো রঙ = কপিশ,কপিল
৮৩. ক্ষুধার অল্পতা = অগ্নিমান্দ্য
৮৪. কটিদেশ থেকে পদতল পর্যন্ত অংশ = অধঃকায়
৮৫. কৃষ্ণবর্ণ হরিণ = কালসার
৮৬. ক্রীড়নশীল তরঙ্গ = চলোর্মি
৮৭. কাচের তৈরি ঘর = শিশমহল
৮৮. কোন বিষয়ে যে শ্রদ্ধা হারিয়েছে = বীতশ্রদ্ধ
৮৯. কনুই থেকে বদ্ধ মুষ্টি পর্যন্ত পরিমাণ = রত্নি
৯০. কপালে আঁকা তিলক = রসকলি
৯১. কচি তৃণাবৃত ভূমি = শাদ্বল
৯২. ক্ষিতি, জল,তেজ বায়ু থেকে সঞ্জাত = চতুভৌতিক
৯৩. গৃহের প্রধান প্রবেশ পথ = দেহলি,দেউড়ি
৯৪. গরম জল = উষ্ণোদক
৯৫. গর্দভের বাসস্থান = খরশাল
৯৬. গুরুগৃহে বাস = অন্তেবাসী
৯৭. গ্রন্থাদির অধ্যায় = স্কন্দ
৯৮. গুরুর পত্নী = গুর্বী
৯৯. গাধার ডাক = রাসভ
১০০. ঘর্ষণ বা পেষণজাত গন্ধ = পরিমল

 

 

উপসংহার:

এক কথায় প্রকাশ কেবল ভাষার একটি অংশ নয়, এটি একটি দক্ষতা যা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জীবনে ও পেশাগত জীবনে সাহায্য করে। ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় এটি পরীক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ এটি কেবল তাদের জ্ঞান যাচাই নয়, বরং তাদের ভাষাগত সক্ষমতার পরিচায়ক। নিয়মিত অনুশীলন ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে এক কথায় প্রকাশে দক্ষতা অর্জন সম্ভব, যা পরীক্ষার সাফল্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক।

 

 

 

 

 

 

 

No comments:

Post a Comment