Showing posts with label বুঝে পড়ি লিখতে শিখি ৩য় পরিচ্ছেদ. Show all posts
Showing posts with label বুঝে পড়ি লিখতে শিখি ৩য় পরিচ্ছেদ. Show all posts

Sunday, 27 October 2024

বুঝে পড়ি লিখতে শিখি ( ৩য় পরিচ্ছেদঃ তথ্যমুলক লেখা)

বুঝে পড়ি লিখতে শিখি ( ৩য় পরিচ্ছেদঃ তথ্যমুলক লেখা) 

 

ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা সাহিত্য ও সামাজিক ইতিহাসের বিষয়গুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই অধ্যায়টি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ গুরুত্ববাহী, কারণ এটি শুধু একটি জীবনীমূলক অধ্যায় নয়, বরং এতে ঐতিহাসিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। এই অধ্যায়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বেগম রোকেয়ার নারী শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারের অবদানের পাশাপাশি বাঙালি মুসলিম সমাজের অবস্থা সম্পর্কে ধারণা লাভ করে।

বেগম রোকেয়ার সময়কার সমাজের রক্ষণশীলতা, নারীদের প্রতি বৈষম্য এবং শিক্ষার প্রতি বাধাগুলো বোঝার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানতে পারে। এই জ্ঞান তাদের বাঙালি জাতিসত্তা এবং সামাজিক উন্নয়নের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে সহায়ক, যা ক্যাডেট কলেজের মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।

 


 

ছোট প্রশ্নের উত্তর:

   

  1. তথ্যমূলক লেখা বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
    উত্তর: তথ্যমূলক লেখা হল এমন একটি রচনা যেখানে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়।
  2. কোন ধরনের তথ্য নিয়ে এই লেখাটি রচনা করা হয়েছে?
    উত্তর: এই লেখাটি বেগম রোকেয়া জীবনী তাঁর অবদানের উপর ভিত্তি করে রচনা করা হয়েছে।
  3. বেগম রোকেয়া জন্মস্থান কোথায়?
    উত্তর: তাঁর জন্মস্থান রংপুর জেলার পায়রাবন্দ।
  4. বেগম রোকেয়া বড় ভাই কোথায় লেখাপড়া করেছিলেন ?
    উত্তর: তিনি কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে উচ্চশিক্ষা লাভ করেছিলেন।
  5. বেগম রোকেয়া প্রাথমিক শিক্ষায় আগ্রহ কে জাগিয়ে তোলে?
    উত্তর: তাঁর বড় ভাই ইব্রাহিম সাবের বেগম রোকেয়া লেখাপড়ার  প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করেন।
  6. বেগম রোকেয়া কোন রচনাটি তাঁর স্বামীকে উৎসর্গ করেছিলেন?
    উত্তর: তাঁর রচনামর্যাদাদ্বিতীয় খণ্ডটি তাঁর স্বামীকে উৎসর্গ করেন।
  7. বেগম রোকেয়া  কোন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হন?
    উত্তর: তিনি প্রথম কলকাতারনবপ্রভাপত্রিকায় প্রকাশিত হন।
  8. তিনি কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
    উত্তর: তিনি ১৯৩২ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
  9. সাখাওয়াত  মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের শুরুতে কতজন ছাত্রী ছিল?
    উত্তর: শুরুর দিকে এই স্কুলে জন ছাত্রী ছিল।
  10. বেগম রোকেয়া কবে সুলতানার স্বপ্ন রচনা করেন?
    উত্তর: তিনি ১৯০৫ সালেসুলতানার স্বপ্নরচনা করেন।

 

বড় প্রশ্নের উত্তর:

1.     বেগম রোকেয়ার সময়ে বাঙালি মুসলিম সমাজের অবস্থা কেমন ছিল?

উত্তর: বেগম রোকেয়ার সময়ে বাঙালি মুসলিম সমাজে শিক্ষার তেমন প্রচলন ছিল না বিশেষ করে নারীরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ছিলেন এবং তাঁদের ওপর কঠোর সামাজিক নিয়ম-কানুন আরোপিত ছিল। মেয়েরা ঘরের বাইরে বের হতে পারতেন না, তাদের শিক্ষার সুযোগ ছিল খুবই সীমিত। পুরুষদের তুলনায় নারীদের কোনো স্বাধীনতা বা সামাজিক অবস্থান ছিল না। এই পরিস্থিতি বদলানোর জন্য বেগম রোকেয়া নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং নারী জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

 

২.    বেগম রোকেয়া আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কেন?

উত্তর: বেগম রোকেয়া আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নারীদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তার, সামাজিক উন্নয়ন এবং আর্থিক স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে। তিনি অনুভব করেছিলেন যে, নারীরা শিক্ষিত না হলে তারা নিজেরা সচেতন হতে পারবে না এবং সমাজে মর্যাদার আসন পাবে না। এই সংগঠনের মাধ্যমে তিনি নারীদের লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি করেন, সমাজে তাদের অধিকার মর্যাদার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করেন এবং নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ সহায়তা প্রদান করেন।

   

৩.   বেগম রোকেয়া নারীদের শিক্ষার জন্য কী ধরনের অবদান রেখেছিলেন?

উত্তর: বেগম রোকেয়া নারীদের শিক্ষার জন্য বিশেষ অবদান রেখেছেন। তিনি নারীদের শিক্ষিত করতে শাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন এবং বিভিন্ন লেখার মাধ্যমে নারীদের শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তাঁর লেখা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি নারীদের স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে এবং সমাজে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান অর্জন করতে উৎসাহিত করেছেন।

4.  বেগম রোকেয়া নারী শিক্ষার গুরুত্ব কেন অনুভব করেছিলেন এবং তিনি বিষয়ে কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন? তাঁর এই পদক্ষেপগুলো সমাজে কী প্রভাব ফেলেছিল?

উত্তর: বেগম রোকেয়া মনে করতেন যে, শিক্ষার অভাবে নারীরা নিজেদের অধিকার, দায়িত্ব এবং সমাজে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারছেন না। তিনি ১৯১১ সালেশাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলপ্রতিষ্ঠা করেন, যা নারীদের শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়ায়। তাঁর পদক্ষেপ নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে সহায়ক হয় এবং নারীরা ধীরে ধীরে শিক্ষার মাধ্যমে নিজেদের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করেন।

 
 
 

 


অধ্যায়টি ক্যাডেট কলেজে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণামূলক। এই অধ্যায়টি শুধু একটি ঐতিহাসিক জীবনচরিত নয়; এটি নারীদের শিক্ষার গুরুত্ব এবং সামাজিক উন্নয়নে সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার প্রতিফলন। বেগম রোকেয়ার আদর্শ ও কর্মপদ্ধতি শিক্ষার্থীদের নারীর ক্ষমতায়ন ও সমানাধিকার সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেয়। তদ্ব্যতীত, এই জ্ঞান ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির পাশাপাশি ভবিষ্যৎ নাগরিক হিসেবে সমাজের প্রতি দায়িত্বশীলতার অনুভূতি গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।