Showing posts with label সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি ১ম পরিচ্ছেদ. Show all posts
Showing posts with label সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি ১ম পরিচ্ছেদ. Show all posts

Tuesday, 29 October 2024

সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি (১ম পরিচ্ছেদঃ কবিতা )

সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি (১ম পরিচ্ছেদঃ কবিতা )

YouTube Video Lecture

 

কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আমাদের সাহিত্যের অন্যতম প্রেরণা। "আমি সাগর পাড়ি দেব" কবিতাটি মূলত জীবনের বাধাবিপত্তি ও প্রতিকূলতাকে সাহসের সাথে মোকাবিলা করার অনুপ্রেরণা দেয়। ক্যাডেট কলেজে ভর্তির পরীক্ষায় এই ধরনের কবিতা নিয়ে প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের সাহিত্যিক জ্ঞান, ব্যাকরণগত দক্ষতা, ও নৈতিক মূল্যবোধ পরীক্ষা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এই কবিতার বিভিন্ন প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস ও দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশে সহায়ক হয়, যা ভবিষ্যতে তাদের জীবনের প্রতিকূলতাগুলো মোকাবিলা করতে সাহস যোগাবে।

Remembering Nazrul, a poet par excellence! | The Business Standard 

 ছোট প্রশ্ন

1.     কবি সাগর পাড়ি দিতে কেন চান?
উত্তর: কবি সাগর পাড়ি দিয়ে জীবনযুদ্ধে সাহসিকতার সাথে এগিয়ে যাওয়ার এবং যেকোনো বাধাকে অতিক্রম করার প্রতিজ্ঞা করেছেন।

2.    কবির ভাষায় সাগর পাড়ি দেওয়ার মাধ্যমে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: সাগর পাড়ি দেওয়া এখানে প্রতীকী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, যা জীবনের বড় চ্যালেঞ্জ বাধা অতিক্রম করার ইচ্ছাশক্তি সাহসকে নির্দেশ করে।

3.    কবিতায় কবি সাগরকে কোন ধরনের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন?
উত্তর: কবি সাগরকে প্রতিকূলতা বিপদের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন, যা অতিক্রম করতে হলে সাহস আত্মবিশ্বাস প্রয়োজন।

4.    কবির মতে সাগর পাড়ি দেওয়ার পথে কী কী বাধা আসতে পারে?
উত্তর: কবির মতে সাগর পাড়ি দেওয়ার পথে ঝড়-তুফান, গভীরতা, এবং বিপদের মুখোমুখি হতে হতে পারে।

5.    কবি কীভাবে নিজের সাহসিকতার প্রকাশ করেছেন?
উত্তর: কবি সাহসিকতার প্রকাশ করেছেন এই বলে যে তিনি কোনো বাধা বা বিপদে ভয় পাবেন না, বরং তা অতিক্রম করে এগিয়ে যাবেন।

6.    কবিতায় "ভয়" সম্পর্কে কবি কী বলেছেন?
উত্তর: কবি বলেছেন, ভয়কে অতিক্রম করা প্রয়োজন; ভয় পেয়ে পিছিয়ে না থেকে অদম্য সাহসের সাথে এগিয়ে যাওয়া উচিত।

7.    কবির আত্মবিশ্বাস এবং উদ্দীপনা কোন পঙক্তিগুলোতে স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর: "আমি সাগর পাড়ি দেব" এবং "ভয়কে পরাজিত করে সামনে এগিয়ে যাব" এই ভাবার্থপূর্ণ পঙক্তিগুলোতে কবির আত্মবিশ্বাস উদ্দীপনা স্পষ্ট।

8.    "আমি সাগর পাড়ি দেব" কবিতার মূল বার্তা কী?
উত্তর: কবিতার মূল বার্তা হলো, যেকোনো চ্যালেঞ্জকে সাহসিকতার সাথে মোকাবিলা করা এবং ভয়কে জয় করে জীবনের পথে অগ্রসর হওয়া।

9.    কবি এই কবিতায় কোন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার কথা বলেছেন?
উত্তর: কবি এখানে জীবনের প্রতিকূলতা, বিপদ বাধা মোকাবিলার কথা বলেছেন, যা সাহসিকতার সাথে অতিক্রম করা উচিত।

10. এই কবিতার মাধ্যমে পাঠক কী ধরনের প্রেরণা পেতে পারে?
উত্তর: এই কবিতার মাধ্যমে পাঠক প্রেরণা পান যে, জীবনের যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে ভয় না পেয়ে আত্মবিশ্বাস সাহসিকতার সাথে এগিয়ে যাওয়া উচিত।

11. কবি সাগরকে কোন উপমায় বর্ণনা করেছেন?
উত্তর: কবি সাগরকে বিশাল বিপদের প্রতীক হিসেবে উপমা দিয়েছেন, যেখানে তার ভয় অতিক্রম করার মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে।

12. কবিতায় "আমি সাগর পাড়ি দেব" পঙক্তির মাধ্যমে কবির কী দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর: এই পঙক্তির মাধ্যমে কবির দৃঢ় সংকল্প অদম্য সাহসের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশিত হয়েছে।

 


 

 

 

 

 

 বড় প্রশ্ন


1.    বন্যা এনে ভাঙব বিভেদ করব একাকার”-ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: কবি রাষ্ট্র, সমাজ ও মানুষের মধ্যে বিভেদের দেয়াল গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য বন্যা আনার কথা বলেছেন। সাম্যবাদী কবি কোনো বিভেদ-বৈষম্যে বিশ্বাস করেন না। তিনি চান না মানুষে-মানুষে, সমাজে-সমাজে, দেশে-দেশে কোনো বিভেদের অদৃশ্য প্রাচীর থাকুক। এ প্রাচীর মানুষকে মানুষের সাথে মিলতে দেয় না, তাই কবি বন্যা এনে বিভেদের প্রাচীরকে একাকার করে দিতে চান ।

 

2.   কবিকে কারা কারা খাজনা দেয়?

 

উত্তর: সমুদ্র এবং প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গ কবিকে খাজনা দেয়। কবি বিশ্বজোড়া হাটে বিকি-কিনি করার জন্য সাতটি ময়ূরপঙ্খি বজরা নিয়ে বের হয়ে পড়েন। সমুদ্র নানা রত্ন আর মানিকের ডালা সাজিয়ে কবিকে অভ্যর্থনা করেন। সমুদ্রের বুকে জেগে ওঠা দ্বীপ কবির জন্য আবাসন তৈরি করে রাখে। আকাশের পাখিরা কবির চারপাশে ভিড় করে থাকে। ঝিনুকেরা কবিকে নজরানাস্বরূপ মুক্তা উপহার দেয় 

 

 

3.   কোনো অশুভ শক্তি দেশে আসলে কবি তা কীভাবে প্রতিহত করবেন?

 

উত্তর: কবির রাজ্যে কোনো অশুভ শক্তি এলে কবির পাহারাদাররা তাকে বর্শা দিয়ে প্রতিহত করবে। কবি নির্ভীক। পথের কোনো বিপদের পরোয়া কবি করেন না। আর সমুদ্রযাত্রায় গিয়ে যদি কোনো বিপদে পড়েন তাহলে, বর্শা দিয়ে তাকে প্রতিহত করবে। কারণ, রাজার কুমার কবিকে হাজার নদীর নীর খাজনা যোগায়। তাই এ সকল সমুদ্রের বিপদ যদি কখনো কবির রাজ্যকে অন্যায়ভাবে আক্রমণ করে তাহলে কবির সিন্ধু গাজি, মাল্লামাঝি, নৌ-সেনা ও জেলেরা সতর্ক অবস্থানে থাকবে। তারা যেকোনো আক্রমণকে বর্শা দিয়ে গেঁথে প্রতিহত করবে।

 

 

4.   সিন্ধু কবিকে কীভাবে অভ্যর্থনা করে?

 

উত্তর: সিন্ধু (সাগর) এক রাশ রতন মানিক দিয়ে কবিকে অভ্যর্থনা করে। কবি সাত সাগরে ভাসিয়েছেন তার সাতটি বাণিজ্য তরী। এ তরী বহর চলার সুবিধার জন্য কবি লাল পাল তুলে দেন। সমুদ্র কবির এ অগ্রযাত্রাকে সাধুবাদ জানানোর জন্য তার হাতে তুলে দেয় রতন ও মানিক। ঝিনুক তাকে উপহার দেয় মুক্তা মালা। সমুদ্রের বুকে জেগে ওঠা দ্বীপগুলো কবির জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করে।

 

 

     কাজী নজরুল ইসলামের "আমি সাগর পাড়ি দেব" কবিতার ওপর ভিত্তি করে তৈরি প্রশ্নগুলো ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এটি শিক্ষার্থীদের সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ, চিন্তাশক্তির বিকাশ এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার মনোভাব গড়ে তুলতে সহায়ক। এর মাধ্যমে শুধু শিক্ষার্থীদের সাহিত্যিক দক্ষতা নয়, বরং তাদের মানসিক শক্তি, নৈতিক মূল্যবোধ ও চরিত্রের দৃঢ়তাও মূল্যায়িত হয়, যা একটি ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।